কিন্তু আমরা যে কারণেই ইন্টারনেট ব্যবহার করি না কেন আমাদের প্রধান চাহিদা থাকে হাই স্পিড ইন্টারনেট।
অনেক সময় ধীর গতির ইন্টারনেটের সব সময় অনেক বিরক্তকর লাগে। আর এই ধীর গতির ইন্টারনেটের কারণ কি আপনার ওয়াই-ফাই রাউডার অথবা সিম কোম্পানি নাকি আপনার মোবাইল।
হ্যাঁ, আপনার মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ার কারণ হতে পারে। যদি আপনার মোবাইলের সমস্যার কারণে ইন্টারনেট স্পিড কম হয়ে থাকে এবং আপনি চান আপনার ইন্টারনেট স্পিডকে সাধারণের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করতে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে এমন কিছু বিষয়ের সমাধান দিতে চলেছি যা আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড কম হওয়ার কারণ হয়।
বর্তমান ইন্টারেনট স্পিড চেক
ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর উপায় অবলম্বন করার আগে আপনার উচিত আপনার বর্তমান ইন্টারনেট সম্পর্কে জানা উচিত।
২টি উপায় ইন্টারনেট স্পিড জানতে পারেন
১. "Real-time network speed" চালু করে
বর্তমান সময়ের নেটওয়ার্ক স্পিড দেখতে আমাদের মোবাইলের ডিফল্টেই একটি পিচার থাকে সেটি চালু করে দিলেই আপনি বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট স্পিড দেখতে পারবেন।
২. থার্ডপার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে
আপনি বিভিন্ন থার্টপার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে বর্তমান নেট স্পিড জানতে পারবেন। এইজন্য প্লেস্টোরে গিয়ে "Internet speed test" লিখে অনুসন্ধান করলে অনেকগুলো অ্যাপ দেখতে পাবেন সেখান থেকে একটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যাশ এবং ব্রাউজিং হিস্টোরি ক্লিয়ার
প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক অ্যাপস আর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকি। আমাদের এই ব্যবহারকৃত অ্যাপসগুলো প্রতিনিয়তই মোবাইলে কিছু ক্যাশ এবং হিস্টোরি রেখে যায়।
এই ক্যাশ এবং হিস্টোরির কারণে আমাদের মোবাইলে নেটওয়ার্ক স্পিড কমে যায়। এই সমস্যা হতে মুক্তির জন্য মোবাইলের "settings" অপশনে গিয়ে "APP Management" যান।
এছাড়াও থার্ডপার্টি ক্লিনিং অ্যাপ দিয়েও Cache এবং Data ক্লিয়ার করা যায়।
ব্যাকগ্রাউন্ড রানিং অ্যাপস বন্ধ
আমরা আমাদের প্রয়োজনে প্রতিদিন অনেক অ্যাপস ব্যবহার করে থাকি। এই অ্যাপসগুলো মধ্যে এমন অনেক অ্যাপস থাকে যেগুলো সারাদিন আমাদের অজান্তেই চলতে থাকে।
এই অ্যাপসগুলো ব্যাকগ্রাউন্ড চলার ফলে অ্যাপসগুলোও নির্দিষ্ট পরিমাণ ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। এই অ্যাপসগু ইন্টারনেটও আমাদের একই ডিভাইসের মাধ্যমেই গ্রহণ করে।
তাই ব্যাকগ্রাউন্ড চলে এমন অ্যাপ দরকারি না হলে অফ করে রাখুন। যেটি আপনার ইন্টারনেট স্পিডকে বাড়িয়ে দিবে।
এড ব্লাকার ব্যবহার
আমরা দিনে যেই অ্যাপস বা ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করি সেগুলোর বেশি ভাগেই এড চলে। এই এডগুলো চলে আমাদের মোবাইল থেকে ইন্টারনেট গ্রহন করে। যার ফলে ইন্টারনেট স্পিড স্লো হতে পারে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি প্লেস্টোর থেকে ভালো মানের একটি এড ব্লকার ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
ইন্টারনেট টাইপ পরিবর্তন
দিন দিন প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সব কিছুরই উত্তম কিছু বের হচ্ছে। আর আপনি যদি সিম ব্যবহার করনে যেটির আরো ভালো ভার্শন বাজারে আছে তাহলে যেটি আপনার ইন্টারনেট স্পিডে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
মনে করুন, আপনি একটিন ৩জি সিম কার্ড ব্যবহার করছেন, কিন্তু মার্কেটে ৪জি বের হয়ে গেছে। এতে দেখা যাবে আপনার ৩জি সিমটির ইন্টারনেট স্পিড হ্রাস পেয়েছে।
ব্রাউজার পরিবর্তন করুন
আমরা ওয়েব ব্রাউজিং এর জন্য সাধারানত সব সময়ই একটি ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ওয়েব ব্রাউজার ভেদে ব্রাউজিং স্পিড কম বেশি হতে পারে।
তাই ব্রাউজিং স্পিড জনিত সমস্যা দেখা গেলে সেটিকে শুধু নেটওয়ার্ক দোষ বলে মনে করবেন না। এই ধরনের সমস্যায় পড়লে অবশ্যই আগে একবার ব্রাউজার পরিবর্তন করে দেখেন।
ইন্টারনেট সংযুগ বিছিন্ন করে আবার চেষ্টা
ইন্টারনেট স্পিড কম হওয়ার সমস্যা অনেক সময় খুব সহজেই সমাধান করা যায়। এর জন্য আপনি শুধু মোবাইলের ইন্টারনেট একবার অফ এবং আবার অন করলেই হয়ে যায়।
আবার আপনি ফ্লাইটমুড অন এবং অফ করেও চেষ্টা করতে পরেন।
ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধিকারক অ্যাপ
প্লেস্টোরে এমন অনেক অ্যাপস পেয়ে যাবেন যেগুগুলো ইন্টারনেট স্পিডকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধির জন্য VPN-ও কাজে দিতে পারে। তবে হ্যাঁ এই অ্যাপসগুলো ব্যবহারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে এবং ভাইরাস থাকে এমন কোন অ্যাপস ব্যবহার করবেন না।
আরও পড়ুন....
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
আইডি হ্যাক হলে কিভাবে বুঝব ও করণীয় কি
শেষকথা
এই পোস্টটিতে কোন কোন উপায়ে আপনি আপনার ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত অলোচনা করেছি।
আশা করি এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট স্পিডকে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। পোস্টটি যদি আপনাকে সাহায্য করে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানান।
Comments
Post a Comment