স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অনার্স ১ম বর্ষ ২০২২ সালের প্রশ্ন ও উত্তর

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অনার্স ১ম বর্ষ ২০২২ সালের প্রশ্ন ও উত্তর

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস একটি গৌরবময় অধ্যায় যা আমাদের জাতীয় পরিচয় ও স্বাধীনতার মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রাম, সংস্কৃতি, ও ঐতিহ্যের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনের প্রক্রিয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য এই অধ্যায় শুধুমাত্র পাঠ্য বিষয় নয় বরং এটি আমাদের জাতীয় চেতনা ও গৌরবের প্রেরণা। 

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অনার্স ১ম বর্ষ ২০২৪ শিক্ষার্থীদের ২০২২ সালে প্রশ্ন এবং উত্তর জানা খুবই জরুরি কারণ এই প্রশ্ন থেকে অনেক প্রশ্ন আসতে পারে তোমাদের ইনকোর্স বা ১ম বর্ষ ফাইনাল পরিক্ষায়।

২০২২ সালের প্রশ্নোত্তর বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার সূচনার কারণ, ঘটনাপ্রবাহ, ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবে, যা তাদের পাঠ্যজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস 

অনার্স ১ম বর্ষ ২০২২ প্রশ্ন ও উত্তর| ক বিভাগ |অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস প্রশ্নে আমাদের ৩ বিভাগে প্রশ্ন থাকে তার মধ্যে প্রথম বিভাগ হচ্ছে ক। যেখানে শিক্ষার্থীদের ১২টি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দেওয়া থাকে সেখান থেকে ১০টি প্রশ্নে উত্তর দিতে হয়। 

যেহেতু এগুলো অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন তাই মাত্র একলাইনে উত্তর দিলেই যথেষ্ট। ১০টি প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়া হয় ১০।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অনার্স ১ম বর্ষ ২০২২ সালের প্রশ্ন
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ২০২২ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষায় আসা ক বিভাগের প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ।

(ক) কোন প্রাচীন গ্রন্থে 'বঙ্গ' নামের উল্লেখ পাওয়া যায়?

উত্তর: মহাভারত ও ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে 'বঙ্গ' নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।

(খ) বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে কোন ভৌগোলিক রেখা অতিক্রম করেছে?
উত্তর: বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।

(গ) অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর: অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

(ঘ) আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সেক্রেটারী কে ছিলেন?
উত্তর: আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সেক্রেটারী ছিলেন জনাব শামসুল হক।

(ঙ) ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনি প্রতীক কী ছিল?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনি প্রতীক ছিল নৌকা।

(চ) পাকিস্তানে প্রথম কত সালে সামরিক শাসন জারি করা হয়?
উত্তর: পাকিস্তানে প্রথম সামরিক শাসন জারি করা হয় ১৯৫৮ সালে।

(ছ) ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের দুইজন শহীদের নাম লেখ।
উত্তর: ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের দুইজন শহীদ হলেন আসাদুজ্জামান ও মতিউর রহমান।

(জ) মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা কত নম্বর সেক্টরের অধীন ছিল?
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা ২ নম্বর সেক্টরের অধীন ছিল।

(ঝ) মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কে পরিচালনা করেন?
উত্তর: মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অধ্যাপক ইউসুফ আলী পরিচালনা করেন।

(ঞ) মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব কী?
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব হলো 'বীরশ্রেষ্ঠ'।

(ট) বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।

(ঠ) বাংলাদেশ কবে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
উত্তর: বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

 খ বিভাগ |সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অনার্স ১ বর্ষ ২০২২ সালের প্রশ্নে খ বিভাগে থাকবে ৯টি প্রশ্ন যেখান থেকে তোমাদের মোট ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৪ নাম্বার করে থাকবে ৫টিতে মোট ২০ নাম্বার। প্রশ্নগুলো সংক্ষিপ্ত হলেও ইন্টারমিডিয়েটে আমরা যে ধরণের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন লিখতাম তার থেকে এগুলো আলাদা।

এই সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলোতে ভালো নম্বর পেতে তোমাদের ৩-৪ পেইজ প্রশ্নটি উত্তর লিখতে হবে। আরো ভালো নম্বর পেতে প্রশ্নের শুরুতে 'ভূমিকা' এবং শেষে 'উপসংহার' দিতে হবে।

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ২০২২ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষায় আসা খ বিভাগের প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ।

১। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান বর্ণনা দাও।

উত্তর: বাংলাদেশের অবস্থান হলো ২০°৩৪' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০১' পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯২°৪১' পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র, যার পূর্বে ভারত ও মিয়ানমার এবং পশ্চিম, উত্তর, ও দক্ষিণে ভারত দ্বারা বেষ্টিত। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সাথে বাংলাদেশের সংযোগ রয়েছে।

২। বাঙালি নর গোষ্ঠীকে কেন সংকর জনগোষ্ঠী বলা হয়?

উত্তর: বাঙালি নর গোষ্ঠীকে সংকর জনগোষ্ঠী বলা হয় কারণ বাঙালিরা বহু জাতি ও নৃ-গোষ্ঠীর মিশ্রণে গঠিত একটি জনগোষ্ঠী। এখানে আর্য, দ্রাবিড়, মঙ্গোলীয় এবং অস্ট্রিক জাতিগোষ্ঠীর মিলন ঘটেছে, যার ফলে বাঙালিরা একটি সংকর সংস্কৃতি ও বর্ণনার জন্ম দিয়েছে।

৩। সংস্কৃতির সমন্বয়বাদিতা বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: সংস্কৃতির সমন্বয়বাদিতা হলো বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সভ্যতার সমন্বয় ঘটিয়ে একটি অভিন্ন সংস্কৃতির গঠন। এটি একাধিক সাংস্কৃতিক উপাদানের একত্রিতকরণ যা একটি জাতির অনন্য পরিচয় তৈরি করে। বাঙালি সংস্কৃতি এর অন্যতম উদাহরণ, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি ও সভ্যতার মিশ্রণ ঘটেছে।

৪। "অপারেশন সার্চ লাইট" কী?

উত্তর: অপারেশন সার্চ লাইট ছিল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর একটি গণহত্যামূলক অভিযান, যা ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে শুরু হয়। এর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষদের দমন করা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা। এই অভিযানে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছিল।

৫। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুরুত্ব লেখ।

উত্তর: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান। এতে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন এবং স্পষ্ট নির্দেশনা দেন। এই ভাষণ ছিল স্বাধীনতার চেতনা ও সংগ্রামের মূল প্রেরণা, যা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি তৈরি করে।

৬। মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে টীকা লেখ।

উত্তর: মুজিবনগর সরকার হলো বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার, যা ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গঠিত হয় এবং ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এটি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিল।

৭। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুক্তিকামী বাঙালিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রচার করা হয়েছিল।

৮। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান মূল্যায়ন কর।

উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীরা সাহসিকতার সাথে অবদান রেখেছেন। তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ, চিকিৎসা সহায়তা, গুপ্তচরবৃত্তি এবং নানা মানবিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নারীদের এই অবদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক অধ্যায়।

৯। বাংলাদেশের জনগণের নৃ-তাত্ত্বিক পরিচয় দাও।

উত্তর: বাংলাদেশের জনগণ নৃ-তাত্ত্বিকভাবে বিভিন্ন জাতি ও জনগোষ্ঠীর মিশ্রণে গঠিত। এখানে প্রধানত বাঙালি, চাকমা, মগ, মারমা, গারো, হাজং, সাঁওতাল, ও রাজবংশী ইত্যাদি নৃ-গোষ্ঠীর লোক বসবাস করেন।

এখানে মূল উত্তরগুলো দেওয়া হয়েছে বাকিগুলো তোমাদের বই থেকে বা নিজের ধারণা থেকে লিখতে হবে।

গ বিভাগ|বর্ণনামূলক প্রশ্ন

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অনার্স ১ম বর্ষের জন্য গ বিভাগে থাকবে তোমাদের ৫টি বর্ণনামূলক প্রশ্ন। প্রতিটির প্রশ্নের জন্য ১০ নম্বর করে থাকবে মোট ৫০ নম্বর। 

ভালো রেজাল্ট করতে চাইলে এই বিভাগের১টি প্রশ্নের উত্তর তোমাদের সর্ব্বোচ্চ ৮-১০ পেইজ লিখতে হবে।

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ২০২২ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষায় আসা গ প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ।

১০। লাহোর প্রস্তাবের পটভূমি আলোচনা কর। ইহার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কী ছিল?

উত্তর: লাহোর প্রস্তাব ১৯৪০ সালে পেশ করা হয়, যা উপমহাদেশে মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবি উত্থাপন করে। এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করে।

১১। অখণ্ড স্বাধীন বাংলা গঠনের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা কর। এ পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল কেন?

উত্তর: অখণ্ড স্বাধীন বাংলা গঠনের পরিকল্পনা ছিল বাংলাকে একটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা। এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কারণ এতে ভারত, পাকিস্তান এবং ব্রিটিশ সরকারের আপত্তি ছিল এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মতভেদ তা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করে।

১২। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও গুরুত্ব আলোচনা কর।

উত্তর: ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ঘটে। এর মাধ্যমে ভাষার অধিকারের জন্য বাঙালির সংগ্রামের মাইলফলক স্থাপিত হয়, যা স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপ নেয় এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে ওঠে।

১৩। ছয়দফা কর্মসূচিকে কেন বাঙালির ম্যাগনাকার্টা বলা হয়?

উত্তর: ছয়দফা কর্মসূচি ছিল বাঙালির অধিকার ও স্বাধীনতার দাবির ভিত্তি। এটি বাঙালিদের স্বাধীনতার আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে, তাই এটি বাঙালির 'ম্যাগনাকার্টা' নামে পরিচিত। এই কর্মসূচি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সূচনা করেছিল।

১৪। আগরতলা মামলার কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর।

উত্তর: আগরতলা মামলা ছিল পাকিস্তান সরকারের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা। এটি বাঙালিদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান সরকারকে এ মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করে।

১৫। ১৯৭২ সালের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

উত্তর: ১৯৭২ সালের সংবিধান ছিল বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান। এর বৈশিষ্ট্য হলো গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, ও জাতীয়তাবাদকে মূল স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় রচিত একটি প্রগতি ও সাম্যবাদী সংবিধান।

১৬। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরাশক্তির ভূমিকা মূল্যায়ন কর।

উত্তর: বাঙলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরাশক্তির মধ্যে ভারত সরাসরি সহায়তা করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছিল, যা মুক্তিযুদ্ধের সফলতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 

এখানে মূল উত্তরগুলো দেওয়া হয়েছে বাকিগুলো তোমাদের বই থেকে বা নিজের ধারণা থেকে লিখতে হবে।

উপসংহার

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস আমাদের জাতীয় পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা বাঙালির অবিসংবাদিত সংগ্রামী চেতনাকে তুলে ধরে। অনার্স ১ম বর্ষের এই পাঠ্য বিষয়টি শুধুমাত্র পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান প্রদান করতে সহায়ক। 

২০২২ সালের প্রশ্ন ও উত্তরের আলোকে বিশ্লেষণ করে শিক্ষার্থীরা কেবলমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল কারণ এবং প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারবে না, বরং স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ এবং চেতনা তাদের মননশীলতাকে আরও গভীর করবে, যা জাতি গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পোস্টটি উপকারী মনে হলে অবশ্য তোমার বন্ধু এবং সহপাঠীদের শেয়ার কর।

Comments